অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৩

 আপনাদের সকলকে স্বাগতম আজকে আমরা আপনাদের কমেন্টের ভিত্তিতে নিয়ে এলাম অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। যারা ট্রেনে যাতায়াত করেন টিকিট কাটা মানেই তাদের কাছে মনে হয় সেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক হয়রানির পরে অবশেষে টিকিট হাতে পাওয়া। সেই হয়রানির দিন শেষ এখন আর কাউন্টারে যেয়ে সে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না

এখন আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে এখন আর কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে আপনাদেরকে কাউন্টারে যে টিকিট কাটতে হবে না এখন ইচ্ছা করলেই আপনি ঘরে বসে থেকে টিকিট কেটে নিতে পারেন। আর ঠিক সে কারণেই প্রবর্তন হয়েছে অনলাইন টিকিটের। তাই আর চিন্তা নয় আর কোন হয়রানির শিকার হতে হবে না আপনাকে আপনার যখন প্রয়োজন হবে আপনি তখন ওয়েবসাইটে ঢুকে অথবা মোবাইলে আপনি কেটে ফেলতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের টিকিট।

আর টিকিট কিভাবে কাটবেন তা নিয়েই আজকের আমাদের এই অনুচ্ছেদটি। এই অনুচ্ছেদটি খুব ভালোভাবে পড়লে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসেই টিকেট কাটা যায়।

একনজরে আমাদের সম্পন্নঅনুচ্ছেদটি

  1. সূচনা
  1. অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটা বলতে কী বোঝায়
  1. আপনি কেন অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটবেন
  1. অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
  1. ওয়েবসাইট এর সাহায্যে অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম
  1. শেষ কথা

অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটা বলতে কী বোঝায়

অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটা বলতে বোঝায় সশরীরে স্টেশনে উপস্থিত না হয়ে নিজস্ব স্থানে অবস্থান করে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে টিকিট কাটা পদ্ধতি কে বোঝায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটা বলতে কী বোঝায়। এখন চলুন আমাদের আলোচ্য বিষয় কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে হয় সেই বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করি।

আপনি কেন অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কাটবেন

আমরা আগেই বলেছি যে অনলাইনে টিকিট কাটা অনেক সুবিধাজনক মানুষ বর্তমানে একটু সুবিধার জন্য কতকিছুই না করছে। ঠিক সেরকম একটা সুবিধা হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কাটা। কারণ অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য এখন আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সবকিছুই সহজ হচ্ছে ট্রেনের টিকিট কাটাতে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগার কারণে এটাও সহজ হয়ে গেছে আপনি কেনো ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটবেন তা নিয়ে নিচে কিছু কথা উল্লেখ করব।

অনলাইনে টিকিট কাটার কারণে আমাদের অনেক উপকার আছে। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য এখন আর কষ্ট করে আমাদের কাউন্টারে যে টিকিট কাটতে হয় না। এখন আমরা যখন আমাদের প্রয়োজন ঠিক তখন ইচ্ছা মতন ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনে টিকিট কেটে নিতে পারছি এতে করে আগের মত খুব একটা সময় লাগছে না এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। এবং কোন দালালের পালটায় পড়তে হচ্ছে না। এরকম আরো হাজারো কারণ রয়েছে যার কারণে একজন ব্যক্তি বা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কাটা কেই বেশি প্রাধান্য দিবেন।

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটবেন

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে দুইটি পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকেট খুব সহজভাবেই কেটে নিতে পারবেন। একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট এর সাহায্যে ট্রেনের টিকেট কাটা এবং অপরটি হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটা। আমরা এখন এই দুইটি পদ্ধতি দিয়ে আপনারা কিভাবে টিকিট কাটবেন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর আপনারা যারা এ বিষয়ে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

ওয়েবসাইট এর সাহায্যে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটা যায় 

  • চলুন আমরা জেনে নেই ওয়েবসাইট এর সাহায্যে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। শুরুতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেই ওয়েবসাইট এর সাহায্যে কম্পিউটার বা মোবাইল দুই জায়গা থেকেই ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। অনেকেই হয়তো ভাবেন কম্পিউটার ছাড়া হয়তো ওয়েবসাইটে টিকিট কাটা যায় না কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা মোবাইল ফোনেও ওয়েবসাইট থেকে টিকেট কাটা যায়। প্রথমে ওয়েবসাইটের প্রক্রিয়াটি আমরা খুব ভালো ভাবে বর্ণনা করব।
  • অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে সেটা হচ্ছে টিকিট কাটার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ে মূলত দুইটি ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো রেল মন্ত্রণালয়ের সাইট এই সাইটে গেলে আপনি খুব সহজেই রেল মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আরেকটি সাইট হচ্ছে ইটিকিটিং পরিষেবা ওয়েবসাইট।
  • টিকিট কাটার জন্য আপনাকে টিকিটিং পরিষেবা ওয়েবসাইটে যেতে হবে বা প্রবেশ করতে হবে এবার আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন হবে ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার, এবং জাতীয় পরিচয় পত্র। আপনি এই তথ্যগুলো দিয়ে খুব সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।একাউন্ট খোলার পর আপনাকে টিকিট কাটা শুরু করতে হবে। শুরুতে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যাত্রার তারিখ নির্বাচন করতে হবে। এবং আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে যাত্রা শুরু করার স্থান এবং আপনার গন্তব্য স্থানের নাম নির্ধারণ করতে হবে। এরপর আপনাকে যা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনারা কয়জন, আপনি কয়টা টিকেট কিনবেন অথবা আপনার কয়টা টিকেট প্রয়োজন সেই সংখ্যাটা উল্লেখ করতে হবে। এবং আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি ঠিক কেমন সিট নিতে চাচ্ছেন। এরপর অপশন আসবে শোভন চেয়ার, এসি এরমধ্যে আপনার পছন্দের সিট টি আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর আপনার সামনে একটি সম্পূর্ণ নতুন পেইজ বা ইন্টারফেস আসবে আপনি এই পেজে আপনার ট্রেন এর লিস্ট দেখতে পাবেন এবং সেখানে টিকিটের মূল্য এবং ডিটেলস দেওয়া থাকবে। আপনি কোন সময় যেতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী ট্রেন নির্বাচন করুন এবং পরবর্তী অপশন এ প্রবেশ করুন।
  • এ পর্যায়ে আপনাকে ট্রেনের সিট নির্বাচন করতে হবে যদিও প্রত্যেকটি ট্রেনের সিট নির্বাচন করার নির্দেশ বা অপশন থাকেনা। আপনি যদি সিলেকশন অপশনটি পান তাহলে আপনার সামনে একটি বগি সম্পূর্ণ সিট চলে আসবে এবং সেখান থেকে সবুজ রঙের সেগুলি হতে আপনাকে আপনার পছন্দমত সিট সিলেকশন করে নিতে হবে। লাল রংয়ের সিটগুলো আগে থেকেই বুকিং করা হয়ে গেছে।
  • এ পর্যায়ে আপনাকে টিকিট কাটার জন্য সর্বশেষ ধাপে আসতে হবে্ এখানে আপনাকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনি এই টিকিট এর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন আপনি চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও ভিসা কার্ড মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করা যায় আপনি কিভাবে এই মূল্য বা পরিষদ পেমেন্ট করতে পারবেন সে সম্পর্কিত একটি সম্পুর্ন পোস্ট পরবর্তীতে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করব।
  • এখন আপনাকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে টিকিট সংগ্রহ করতে আপনি আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ডের রিসোর্টে প্রবেশ করতে হবে আপনি সেখানে আপনার টিকিটটা পেয়ে যাবেন সর্বোচ্চ 30 মিনিটের ভিতরে টিকিট  চলে আসবে আপনি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন এবং একটি কপি প্রিন্ট করুন অবশ্যই আপনার সঙ্গে করে যাত্রার সময় সেই প্রিন্ট করা কপি টা নিয়ে যাবেন।

আপনাদের জন্য শেষ কিছু কথা

আশাকরি আমাদের এই পুরো অনুচ্ছেদ টি আপনারা একটু ভালোভাবে পুরোটাই পড়লেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম গুলো। অবশ্যই আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী খুব সহজেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন এতে করে আপনি বিভিন্ন ধরনের দালালের হাত থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার পছন্দমত টিকিটটি খুব সহজেই আপনার হাতে পেয়ে যাবেন। এবং আমাদের এ অনুচ্ছেদটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের প্রয়োজনমতো সকল তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার।