শরীয়তপুর ঢাকা এই রুটে বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে। আমরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে এই রুটে চলাচলকারী সকল বাসের সময়সূচী সম্পর্কে আমাদের পাঠকদের একটি সুন্দর ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও আমরা চেষ্টা করবো এই বাসগুলোর ভাড়া সম্পর্কে আপনাদের একটি ভাল ধারণা দেওয়ার।
অনেকেই রয়েছেন যারা এই রুটে চলাচল করেন কিন্তু সকল বাসের সম্পর্কে কোন তথ্য আপনাদের কাছে থাকে না। তাদের জন্য আজকে নিয়ে এলাম বাস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য নিয়ে এই পোস্ট। শরীয়তপুর থেকে ঢাকা খুব বেশি দূরে নয় কারণ হলো শরীয়তপুর জেলা ঢাকা বিভাগের একটি অংশ। একই বিভাগের ভেতরে হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাতায়াত করেন। এতে করে তারা বাসে বেশি যাতায়াত করেন।
শরীয়তপুর টু ঢাকা বাস
শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যে অঞ্চলে অবস্থিত। শরীয়তপুর জেলা ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি অঞ্চলে এই শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি রয়েছে। শরীয়তপুরের উত্তরে রয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলা দক্ষিণে বরিশাল জেলা এবং পূর্বে চাঁদপুর জেলা এবং পশ্চিমে মাদারীপুর জেলা। এই জেলার গড় তাপমাত্রা 12 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে 35 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এবং গড় বৃষ্টিপাত 2105 মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। তাপমাত্রা বলার কারণ হলো এটি হচ্ছে একটি চর এলাকা।
শরীয়তপুরে রয়েছে 6 টা উপজেলা এবং সাতটি থানা। এর সাথে পাঁচটি মিউনিসিপালিটি, 64 টি ইউনিয়ন পরিষদ, 45 টি ওয়ার্ড,93 মহল্লা এবং 1230 গ্রাম। এ জেলাতে জন্মগ্রহণ করেছেন দেশের বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। কেদারনাথ, রামঠাকুর, পুলিনবিহারী দাস ইত্যাদি সহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এ জেলার অর্থনীতি বেশিরভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। জীবিকা নির্বাহের জন্য এই চরাঞ্চলের মানুষ কৃষি কাজের সাথেই বেশি জড়িত থাকেন। উৎপাদনশীল সর্ষের মধ্যেই জেলাতে রয়েছে ধান, পাট, গম, পিয়াজ, মিষ্টি আলু, টমেটো ইত্যাদি।
এই জেলাতে শিল্প–কারখানা খুব একটা গড়ে উঠতে দেখা যায়নি। তবে বর্তমানে কিছু শিল্প রয়েছে যেগুলো এই জ্বালাতে দেখা যায় তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ চাউলের কল, আটার কল, ময়দার কল এবং বরফ কল। এসকল কুটির শিল্পের সাথে জড়িত বহু মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এখানে কাজ করেন। পূর্বে এই জেলার কাঁসা ও পিতলের তৈরীর জন্য সারাদেশব্যাপী অনেক বিখ্যাত ছিল।
এই জেলাতে বহু চিত্তাকর্ষক স্থান রয়েছে। কয়েকটি স্থান ঐতিহাসিক এবং কয়েকটি রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে সৌন্দর্য স্থান। বহু মানুষ এই সকল স্থানে তাদের অবসর সময় কাটানোর জন্য আসেন। একই বিভাগে হওয়ার কারণে ঢাকার সাথে শরীয়তপুরের যোগাযোগ খুব ভালো। বিশেষ করে বাসে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে খুবই আরামদায়ক একটি রুট।
শরীয়তপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী
আমরা এখন আমাদের অনুচ্ছেদের মূল অংশের চলে এসেছি। আমরা আমাদের এই অংশে শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে যে কয়েকটি বাস চলাচল করে তাদের সময়সূচি সম্পর্কে আলোচনা করব। এতে করে এই রুটে চলাচলকারী সকল যাত্রীদের বাসের সময় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা হয়ে যাবে এবং তারা যাতায়াত এর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন।
- শরীয়তপুর ঢাকা এই রোডে চলাচল করে স্বাধীন পরিবহন এর বেশ কয়েকটি বাস। উল্লেখযোগ্য হল এ রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে নন এসি বাসের সংখ্যায় বেশি। কারণ সৈয়দপুর টু ঢাকা খুব বেশি দূরত্ব নয় শুধুমাত্র 92 কিলোমিটার। শরীয়তপুর টু ঢাকা রুটে চলাচলকারী স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস সকাল 5:30 এ ঢাকার উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং সকাল 9 টায় ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
- স্বাধীন পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাসের মধ্যে আরও একটি নন এসি বাস রয়েছে যা সকালবেলাতে ঢাকার উদ্দেশে শরীয়তপুর কাউন্টার থেকে ছেড়ে যায়। এই বাসটি সকাল 6 টা 10 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে যায় এবং 10:30 মিনিটে ঢাকাতে গিয়ে পৌঁছায়।
- বিআরটিসি পরিবহন বেশ কয়েকটি বাস শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে সার্ভিস দেওয়ার জন্য রেখেছে। এই বাস গুলোর মধ্যে একটি বাস সকাল 7:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে শরীয়তপুর বাস টার্মিনাল থেকে। বাসটি সকাল 10:50 ঢাকা এসে তার যাত্রা শেষ করে।
- বিআরটিসি পরিবহন এর আরো একটি বাস যেটি কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার উদ্দেশ্যে। এই বাসটি শরীয়তপুরে এসে পৌঁছানোর পর যাত্রা শুরু করে সকাল 8 টা 30 মিনিটে। সকালে যাত্রা শুরু করা বাসটি সকাল 12 টা 30 মিনিটে এসে ঢাকাতে তার যাত্রা শেষ করে।
- শরীয়তপুর টু ঢাকা এ রুটে চলাচল করে স্বাধীন পরিবহন এর বেশ কয়েকটি নন এসি বাস। তাদের মধ্যে একটি বাস দুপুর 2:30 মিনিটে শরীয়তপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ঢাকাতে গিয়ে পৌঁছায় বিকেল 6:30 মিনিটে।
- যারা বিকেলে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস বিকেল 4:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসে এবং সন্ধ্যা 7:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে পৌঁছায়।
- যারা রাতে বিআরটিসিতে চলাচল করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বিআরটিসি নিয়ে এসেছে শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস। তাদের মধ্যে একটি হলো নন এসি বাস যাও সন্ধ্যা 7 টা 30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং রাত 10:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
- শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা দিনের শেষ বিআরটিসি বাস টি যা রাত 8:30 মিনিটে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার উদ্দেশ্যে। এই বাসটি ঢাকাতে এসে পৌঁছায় রাত 11:30 মিনিটে।
শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটের বাসের ভাড়া
শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে যে কয়েকটি বাস চলাচল করে তাদের মধ্যে কয়েকটি বাসের কথা আমরা আমাদের প্রশ্ন উপরের অংশে উল্লেখ করেছি। আপনারা যারা এই রুটে যাতায়াত করেন বা ধারা সম্পর্কে আগ্রহী রয়েছেন তাদের জন্য এই অংশটুকু।
- শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী স্বাধীন পরিবহন বেশ কয়েকটি নন এসি বাস দ্বারা এ রুটে সার্ভিস প্রদান করে আসছে। তাদের এই বাসগুলোর ভাড়া তারা নির্ধারণ করেছে 180 টাকা। শরীয়তপুর টু ঢাকা এ রুটে নন এসি বাসের টিকিট মূল্য 180 টাকা।
- বিআরটিসি বাস শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে তাদের বেশ কয়েকটি বাস রেখেছেন। এই বাসগুলোর ভাড়া তারা নির্ধারণ করে দিয়েছে 200 টাকা। শরীয়তপুর টু ঢাকা এই রুটে বিআরটিসি বাসের ভাড়া 200 টাকা।
অনলাইনে বাসের টিকিট 2023
আপনারা যদি অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই অংশটুকু শেষ পর্যন্ত ভালভাবে দেখুন।
- আপনি আপনার কম্পিউটার সেট থেকে যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সেখান থেকে সার্চ দিন shohoz.com এই ওয়েবসাইট। সার্চ দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন অন করে নিতে হবে।
- এর পরে আপনি shohoz.com এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং সেখানে হোমপেজে লক্ষ্য করুন যে বেশ কয়েকটি অপশন আপনার সামনে ওপেন হয়ে আছে।
- আপনি কোথায় থেকে যাত্রা শুরু করবেন এবং কোথায় পর্যন্ত যাত্রা শেষ করবেন এই দুইটি জিনিস উল্লেখ করুন। এরপরে আপনাকে যাত্রার তারিখ উল্লেখ করতে হবে অর্থাৎ আপনি যে তারিখে পাশে যাতা করতে চাচ্ছেন সেই তারিখটা উল্লেখ করতে হবে।
- এ পর্যায়ে সবকিছু উল্লেখ করে সার্চ দিলেই আপনার সামনে অনেকগুলি বাসের লিস্ট চলে আসবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাস সিলেক্ট করুন। এবং বাস সিলেট করার পরে আপনার বাসের সিট সিলেক্ট করুন।
- এরপরে আপনার সামনে পেমেন্ট অপশন আসবে আপনি ইচ্ছে করলে বিকাশ ব্যবহার করে এই টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। আপনি কিভাবে বিকাশ ব্যবহার করে বাসের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করবেন তা সম্পর্কে একটি পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
- আপনি এইভাবে খুব সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি যদি তা না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং সেখানে যাওয়া বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিজের বাসের টিকিট নিজেই কেটে ফেলুন অনলাইনে। যেকোন সমস্যার জন্য অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।