আপনারা যারা ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে বাস চলাচল এর যাবতীয় তথ্য খুঁজছেন তাদের জন্য আজকের আমাদের এই পোস্ট। আপনারা এই তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তাহলে বলব আপনি সঠিক জায়গা তে প্রবেশ করেছেন। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমাদের ভিজিটরদের জানাতে যাচ্ছি যে ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে কোন কোন বাস চলাচল করে এবং এই বাসগুলোর ভাড়া এবং অনলাইন টিকিট সম্পর্কে।
আপনারা যারা এই বিষয়ে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের এই অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণরূপে পড়ুন এবং এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনার সমস্যার সমাধান করুন। আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সম্পূর্ণ তথ্য গুলো দিতে যাতে করে আপনারা উপকৃত হন।
ঝিনাইদহ সম্পর্কে
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশমুখ হচ্ছে ঝিনাইদহ। আপনি জিনাইদহ জেলা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই জেলাটি খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 196 কিলোমিটার। এটি অনেক দীর্ঘ একটি পথ। যারা বাসে এই পথে যাতায়াত করেন তাদের জন্য রয়েছে অনেক বাস কম্পানি।
ঝিনাদহ জেলাতে সর্বমোট 6 টি উপজেলা রয়েছে এবং 67 টি ইউনিয়ন রয়েছে। 945 টি মৌজা এবং 1144 গ্রাম রয়েছে। এই জেলাতে রয়েছে বহু নদনদী। আমাদের বহু পরিচিত নাম কপোতাক্ষ নদ এই জেলায় অবস্থিত। ছাড়াও এ জেলাতে রয়েছে নবগঙ্গা নদী, গড়াই নদী, কুমার নদ,ইত্যাদি নামের নদী।
এ জেলাতে ধান, পাট, গম, সরিষা, মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি ফসল ফলে। এর পাশাপাশি সকল ধরনের ফর্মুলায় জেলাতে উৎপাদন হয়। মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই সকল ফসল ফলায়। জেলার ও চাহিদা মিটিয়েও এই সকল জিনিস দেশের বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানি করা হয়। নিজের জেলাতে রয়েছে দর্শনীয় স্থান। নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, নলডাঙ্গা মন্দির ইত্যাদি সহ আরো বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেখানে প্রতিদিনই বহু মানুষ বেড়াতে আসেন।
এই জেলাতে রয়েছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই জেলাতে রয়েছে বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির জন্ম। বাংলাদেশের সাবেক বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব লতিফুর রহমানের জন্ম এই জেলাতে। এই ছাড়াও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্ম এই জেলাতে। বাউল সাধক গায়ক গীতিকার লালন শাহ এই জেলাতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মনির খান এই জেলাতে জন্মগ্রহণ করেছেন।
এই জেলার মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ অথবা অন্যান্য কাজের জন্য ঢাকা জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে বাস চলাচল কারী বাসের সকল তথ্য এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানি।
ঝিনাইদহ টু ঢাকা বাসের সকল তথ্য
যারা ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এখনকার এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এস বি সুপার ডিলাক্স এই বাস কোম্পানি তাদের বাসগুলো ঝিনাইদহ টু ঢাকা রুটে চলাচল রেখেছে। তারা তাদের এসি এবং ননএসি দুই ধরনের বাস এই রুটে চালু রেখেছে। এখন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ঝিনাইদহ টু ঢাকা বাসের সময়সূচী
- যে বাস গুলো ঝিনাইদহ টু ঢাকা চলাচল করে তার মধ্যে রয়েছে একটি নন এসি বাস। এস বি সুপার ডিলাক্স বাস কোম্পানির একটি নন এসি বাস। এই বাসটি কোচ নাম্বার হল 613 কে–আর। এই বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর 11:55 মিনিটে। বাসটি ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে যাবে তারপরে পৌঁছোবে সাতক্ষীরা এবং তার পরে পৌঁছাবে কুষ্টিয়া। সর্বশেষ বাসটি পৌছবে ভেড়ামারা ঢাকায়। এই বাসটি ঢাকাতে গিয়ে পৌঁছবে প্রায় 6 ঘন্টা পরে। আপনারা যারা এই বাস টিতে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খুব সুন্দর একটি বাস এটি।
- এস বি সুপার ডিলাক্স বাস কোম্পানির আরো একটি বাস রয়েছে যা ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। এই বাসটি একটি এসি বাস এবং এই বাসটি কোচ নম্বর হচ্ছে 614 কে–আর। এই বাসটিতে যারা যাতায়াত করতে ইচ্ছুক তারা বিকেল বেলাতে যাতায়াত শুরু করতে পারবেন। বাসটি বিকেল 3 টা 25 মিনিটে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসবে। কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে এসে বাস টি শেখপাড়া হয়ে ঝিনাইদহ প্রবেশ করবে। বাসটি ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা হয়ে ঢাকাতে এসে পৌছবে। বাসটি প্রায় ছয় ঘন্টা পরে ঢাকাতে এসে পৌঁছাবে।
- এস বি সুপার ডিলাক্স ঝিনাইদহ টু ঢাকা রুটে তাদের একটি নন এসি বাস চালু রেখেছে। এই বাসটি রাত 10:30 এ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। এই বাসটি কুষ্টিয়া থেকে যাত্রা শুরু করবে। বাসটি একটি নন এসি বাস এবং এই বাসটির কোচ নম্বর হচ্ছে 620 কে–আর। এই বাসটি কুষ্টিয়াতে ছেড়ে শেখপাড়া হয়ে ঝিনাইদহ প্রবেশ করবে। এরপরে মাগুরা হয়ে ঢাকাতে প্রবেশ করবে।
- আরো একটি এস বি সুপার ডিলাক্স বাস কম্পানি নন এসি বাস রয়েছে যেটি ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। এই বাসগুলো নন এসি বাস হয়। এই বাসটির কোচ নাম্বার হচ্ছে 623 কে–আর। বাসটি একটি নন এসি বাস এবং ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবে রাত 9 টা 45 মিনিটে। রাতে রওনা করে বাসটি প্রায় ভোরবেলাতে এসে ঢাকাতে পৌঁছাবে। বাস ঝিনাইদহ থেকে যাত্রা শুরু করে শেখপাড়া হয়ে কুষ্টিয়া হয়ে ভেড়ামারা ঢাকাতে প্রবেশ করবে।
ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটের বাসের ভাড়া
আপনারা ইতিপূর্বে এস বি সুপার ডিলাক্স কোম্পানির সকল বাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এই বাস কম্পানি কুষ্টিয়া থেকে বিভিন্ন বাস ছেড়ে আসে এবং ঝিনাইদহ জেলা হতে ঢাকা তে প্রবেশ করে। ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 190 কিলোমিটার। সেই অনুপাতে বাস কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট হারে ভাড়া আগে থেকে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন আমরা সেই বাসগুলোর ভাড়া সম্পর্কে জানব।
নন এসি বাসের ভাড়া
- আপনি যদি ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা এই রুটে নন এসি বাসে যাতায়াত করতে চান তাহলে আপনার জন্য প্রতি টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 600 টাকা। ঝিনাইদহ টু ঢাকা এসবি সুপার ডিলাক্স বাস ফ্রম প্রতি টিকিট মূল্য 600 টাকা।
এসি বাসের ভাড়া
- ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে যারা এসি বাসে যাতায়াত করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এখনকার এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই এসি বাসগুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি টিকিটের জন্য 900 টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ঝিনাইদহ টু ঢাকা এই রুটে এসি বাসের টিকেট মূল্য 900 টাকা।
ঝিনাইদহ টু ঢাকা বাসের অনলাইন টিকিট
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যে কিভাবে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটা যায়। আসলে আমরা সকলেই বাস কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে অভ্যস্ত তাই এই বিষয়ে বেশি জানা জানি না হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না অনলাইনে বাসের টিকিট কিভাবে কাটতে হয়। আপনারা যদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন তাহলেই এই সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
- আপনি আপনার মোবাইল ব্যবহার করে বাসের টিকিট কাটতে চাইলে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন অন করে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন।
- ব্রাউজার থেকে সার্চ দিবেন এস বি সুপার ডিলাক্স ডটকম এই ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইটের চার্জ দেওয়ার পর এই বাস কোম্পানির ওয়েবসাইট আপনার সামনে চলে আসবে।
- আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই আপনাকে আপনার যাত্রা শুরুর স্থান এবং যাত্রা শেষের স্থান এর সঙ্গে যাত্রা তারিখ উল্লেখ করতে বলবে। আপনি সব তথ্য গুলো দিয়ে বাস সার্চ করলেই সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে বাসের লিস্ট চলে আসবে।
- আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাসটি সিলেক্ট করে বাই টিকিট বা বুক টিকিটের সিলেক্ট করুন এবং পেমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে পেমেন্ট করুন। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনার বাস এর টিকিট অনলাইনে কাটার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।