মাদারীপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী ভাড়া, অনলাইন টিকিট ২০২৩

আপনারা যারা মাদারীপুর থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাস এর সকল তথ্য পেতে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা আজকে নিয়ে এলাম মাদারীপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী। আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রথমত জানতে পারবেন মাদারীপুর থেকে কোন কোন বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করছে বা যাত্রা করছে। এই বাসগুলো ঠিক কখন ঢাকার উদ্দেশ্যে মাদারীপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে এবং কখন ঢাকাতে এসে পৌঁছাচ্ছে।

আপনারা আরও জানতে পারবেন বাসগুলোর ভাড়া সম্পর্কে। কোন বাস কখন ঢাকাতে এসে পৌঁছাচ্ছে এবং কোন বাসের ভাড়া কত সে সম্পর্কে আপনার ধারণা পাবেন। সবশেষে আপনারা জানতে পারবেন অনলাইনে কিভাবে বাসের টিকিট কাটতে হয়। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো এই সকল জিনিস। আমরা আস্তে আস্তে আমাদের আলোচনার মূল অংশের দিকে যায়।

মাদারীপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী

মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটের বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে। যেহেতু মাদারীপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 185 কিলোমিটারে তাই বেশ কয়েকটি ভালো বাস কোম্পানি এই রুটের বাস গুলো রেখেছে। এখন আমরা সেই বাসগুলোর থেকে কয়েকটি বাস কোম্পানির সময়সূচী আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

  • সার্বিক পরিবহন মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে তাদের বেশ কয়েকটি নন এসি বাস সার্ভিস চালু রেখেছে। সার্বিক পরিবহন বেশ কয়েকটি বাস দিনের বিভিন্ন সময়ে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সার্বিক পরিবহনের একটি বাস সকাল 5:45 মিনিটে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই বাসটি ঢাকাতে এসে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে যাত্রা শেষ করে। সকাল 10:30 মিনিটে বাসটি গাবতলীতে আসে।
  • সার্বিক পরিবহন এর আরো একটি বাস রয়েছে যা মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে চলাচলকারী সার্বিক পরিবহনের একটি বাস সকাল 6:15 মিনিটে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ঢাকার উদ্দেশ্যে মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসা এই বাসটি ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় সকাল 11:30 মিনিটে।
  • সোনালী পরিবহনের একটি বাস রয়েছে যা মাদারীপুর টু ঢাকা এ রোডে চলাচল করে। এই রুটে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি বাসের মধ্যে সোনালী পরিবহনের একটি বাস সকাল 6:30 মিনিটে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং দুপুর 12 টা 30 মিনিটে ঢাকা কেরানিগঞ্জে সে তার যাত্রা শেষ করে।
  • এন আর ট্রাভেলস লিমিটেড একটি বাস মাদারীপুর টু ঢাকা ট্রেন চলাচল করে। এই রুটে চলাচলকারী বাসের মধ্যে এনা ট্রাভেলস লিমিটেড এর এই বাসটি খুব ভালো একটি বাস। সকাল 6 টা 30 মিনিটে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসে এবং সকাল 11:30 মিনিটে ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
  • সোনালী পরিবহনের একটি বাস রয়েছে যা মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী সোনালী পরিবহনের এই বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে মাদারীপুর থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল 7:30 মিনিটে। সকাল সকাল যাত্রা শুরু করা এই বাসটি দুপুর 1:30 মিনিটে ঢাকা কেরানীগঞ্জ এসে তার যাত্রা শেষ করে।
  • সার্বিক পরিবহন এর আরো একটি বাস মাদারীপুর টু ঢাকা রুটে দুপুর বেলাতে চলাচল করে। মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এই বাসগুলো দুপুর 1 টা তে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করে। দুপুরে রওনা  শুরু করে বাসটি যাত্রা শেষ করে ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে এসে বিকেল 5 টা 30 মিনিটে।
  • সার্বিক পরিবহন এর আরো একটি বাস রয়েছে যে বাসটি দুপুর 2:30 মিনিটে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সার্বিক পরিবহন এর এই বাসটি ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে এসে তার যাত্রা শেষ করে। ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে বাসটি এসে পৌঁছায় সন্ধ্যা 6 টা 30 মিনিটে।

মাদারীপুর টু ঢাকা বাসের ভাড়া

মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের ভাড়া নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব। আপনারা যারা এখন পর্যন্ত এই রুটের ভাড়া সম্পর্কে কোন ধারণা পাননি তারা অবশ্যই এই অংশটুকু ভালোভাবে দেখে নিন তাহলে মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন এই রুটে ভাড়া কত হতে পারে। যেহেতু মাদারীপুর টু ঢাকা দূরত্ব 185 কিলোমিটার সেই কথা মাথায় রেখে বাস কোম্পানিগুলো ভাড়া নির্ধারণ করেছে।

  • মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে সার্বিক পরিবহন তাদের বেশ কয়েকটি বাস দিয়ে সার্ভিস প্রদান করছে। এই প্রত্যেকটি বাসের ভাড়া তারা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তারা মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে তাদের বাসের ভাড়া 350 টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
  • সোনালী পরিবহন মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে অনেক কয়টি বাস রেখেছে। প্রত্যেকটি বাসের ভাড়া এক নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারণকৃত বাসগুলোর ভাড়া 350 টাকা করা হয়েছে।
  • এন আর ট্রাভেলস এই রুটে চলাচলকারী সবথেকে ভালো বাস গুলোর মধ্যে একটি। যারা এর পূর্বে এই বাসে যাতায়াত করছেন তারা অবশ্যই এই বাসের সার্ভিস সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। মাদারীপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী এন আর ট্রাভেলস এর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে 400 টাকা।

অনলাইনে বাসের টিকিট 2023

কিভাবে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটতে পারবেন সেই দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। আপনার চিন্তা দূর করার জন্য আমরা আছি। আপনি যদি আরামদায়কভাবে বাসা তে বসে বাসের টিকিট অনলাইনে কাটতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সঠিক তথ্য পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট আপনাকে ভিজিট করতেই হবে। আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার ফলে আপনারা অনলাইনে কিভাবে বাসের টিকিট কাটতে হয় সেই সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

তথ্যগুলো পাওয়ার পর অবশ্যই খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে তথ্যগুলো বুঝে নিন এবং আমার বিশ্বাস এর পর থেকে আপনার নিজের বাসের টিকিট আপনি নিজে কাটতে পারবেন। তারপরও যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্স তো আছেই। আপনার সমস্যাটি আমাদের কমেন্ট বক্সে তুলে ধরুন এবং অপেক্ষা করুন আমরা অবশ্যই আপনাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হব।

মাদারীপুর জেলা

আপনারা অনেকেই মাদারীপুর জেলা খুব ভালোভাবে চেনেন। সারাদেশ ব্যাপী এই জেলার পরিচিতি রয়েছে। যারা মাদারীপুর জেলা তে বসবাস করে তারা তো অবশ্যই জেলাকে খুব ভালোভাবে জানেন কিন্তু যারা নতুন বাইরে থেকে মাদারীপুর জেলা তে অবস্থান করছেন এবং বাইরের জেলা থেকে জেলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই অংশটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত মাদারীপুর জেলা ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঢাকা বিভাগের একটি জেলা হিসেবে এই জেলার পরিচিতি। মাদারীপুরের উত্তরে রয়েছে ফরিদপুর জেলা মুন্সিগঞ্জ জেলা। মাদারীপুরের পূর্বে রয়েছে শরীয়তপুর জেলা এবং পশ্চিমে রয়েছে ফরিদপুর জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা। মাদারীপুরের দক্ষিণের গোপালগঞ্জ জেলা ও বরিশাল জেলা রয়েছে। মাদারীপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসন রয়েছে এবং পাঁচটি উপজেলা রয়েছে। এছাড়াও মাদারীপুরে পাঁচটি থানা, চারটি পৌরসভা, 59 টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং 1062 গ্রাম রয়েছে।

মাদারীপুরে রয়েছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় 667 টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মাদারীপুরে এবং 289 এনজিও স্কুল রয়েছে। 76 টি কিন্ডারগার্ডেন, 164 টি মাদ্রাসা, 161 মাধ্যমিক বিদ্যালয় কলেজ এবং একটি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট সহ আরো বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এই মাদারীপুরে। মাদারীপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ, সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজ, সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজ, মাদারীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এদের মধ্যে অন্যতম।

মাদারীপুর দিয়ে পদ্মা নদী, আড়িয়াল খাঁ নদী, কুমার আপার নদী, কুমার নদী সহ বেশ কয়েকটি নদী বয়ে গেছে। প্রধান শস্য হিসেবে ধান পাট সরিষা হাট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও রপ্তানিযোগ্য পণ্য হচ্ছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং খেজুরের গুড়। কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে যার দরুন মানুষ এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। এছাড়াও এই জেলাতে সুতা উৎপাদনের বড় একটি কারখানা রয়েছে এবং ক্ষুদ্র শিল্প নগরী এবং ছোটবড় মিলিয়ে 113 হাট বাজার রয়েছে। মাদারীপুরে চিত্তাকর্ষক স্থান এর অভাব নেই। বহু চিত্তাকর্ষক স্থান রয়েছে এই মাদারীপুরে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম হল আউলিয়াপুর নীলকুঠি, আলগী কাজী বাড়ী মসজিদ, খালিয়া জমিদার বাড়ি ইত্যাদি।