কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি জেলা। এই জেলার নাম শোনেননি এমন ব্যক্তি খুব কমই আছেন। আজকে আমরা আমাদের এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাব কুষ্টিয়া টু ঢাকা বাসের সময়সূচী সম্পর্কে। আপনি কিভাবে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাতে বাসে যাতায়াত করবেন এবং সে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ করার জন্য আমাদের তথ্যগুলো ব্যবহার করবেন সেটি সম্পর্কে আপনাকে জানাবো।
আপনারা জানতে পারবেন কোন বাস কখন ছাড়বে এবং কখন তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে। তাই যারা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাতে যাতায়াতের প্রয়োজন অনুভব করছেন তারা আমাদের পোস্ট এর নিচের অংশে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে পড়ে নিন।
কুষ্টিয়া টু ঢাকা কিছু তথ্য
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এই এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশের অনেক ঐতিহাসিকদের দর্শন এবং স্থান। প্রতিবছর বহু মানুষ কুষ্টিয়া জেলাতে শুধুমাত্র পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরতে আসেন। এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলাতে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারাদেশব্যাপী শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আসে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 174 কিলোমিটার। এই বড় যাত্রাপথ অনেকেই বাসে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই পোস্ট। আমরা চেষ্টা করব যারা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাতে অথবা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া তে যাতায়াত করতে বাস ব্যবহার করেন তারা আমাদের এই তথ্যগুলো পেয়ে উপকৃত হবেন।
কুষ্টিয়া জেলা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কুষ্টিয়া জেলাতে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম মাঝারে লালন শার মাজার। আপনারা অনেকেই হয়তো লালন শার মাজার সম্পর্কে জেনেছেন। এছাড়াও রয়েছে ঐতিহাসিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এ জেলাতে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এই সকল কারণবশত কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির জেলা বলে ডাকা হয়।
কুষ্টিয়া জেলাতে রয়েছে পাঁচটি পৌরসভা যার দ্বারা গোটা জেলা শহর পরিচালিত হয়। এছাড়া রয়েছে প্রথম স্থাপিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় যার কারণে এই জেলাতে প্রতিবছর অন্যান্য জেলা হতে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য আসে। এই জেলাতে প্রধানত ধান–পাট আলু ডাল ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে এই জেলাতে এর পাশাপাশি তামাক চাষ এবং পান চাষে অনেক সফলতা রয়েছে।
এই এলাকার মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য শুধুমাত্র কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল নয়। এই এলাকাতে গড়ে উঠেছে অনেক বৃহৎ বৃহৎ শিল্প তার মধ্যে তামাক শিল্প অন্যতম। বাংলাদেশের অধিকাংশ যে তামাক শিল্প রয়েছে সেগুলো এই এলাকাতে অবস্থিত। এছাড়াও এই জেলাতে 120 টি বৃহৎ শিল্প 230 টী মাঝারি শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে 6212 টি এছাড়াও কুটির শিল্প রয়েছে 21 হাজার 837।
আমার উপরের অংশ থেকে আপনারা বুঝতে পারছেন যে ঢাকার সাথে এই জেলার যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টিয়া জেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে স্থান দখল করেছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা নদী এই জেলার ভেতর দিয়েই বয়ে চলেছে।
কুষ্টিয়া টু ঢাকা বাসের সময়সূচী
আমরা কুষ্টিয়া টু ঢাকা বাসের সময়সূচী সম্পর্কে অনেক তথ্য খোঁজার চেষ্টা করেছি। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আমরা কুষ্টিয়া জেলা থেকে ঢাকা জেলাতে ভালো কোন বাস সার্ভিসের তথ্য পায়নি। এর মূল কারণ হিসেবে রেল যোগাযোগ থাকতে পারে। ঢাকার সাথে কুষ্টিয়া জেলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো যার কারণে বেশিরভাগ মানুষই ট্রেনের মাধ্যমে এই জেলা থেকে রাতে যাতায়াত করে। তবুও কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে যেগুলো যাতায়াত করে তবে সেই বাস সার্ভিস এর মান খুব একটা ভালো না তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সার্ভিসগুলোর নাম উল্লেখ করছি না। আপনারা এই বাসগুলোতে যেতে চাইলে নিকটস্থ বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।
ঢাকা টু কুষ্টিয়া বাস সময়সূচী
এখন আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে লিখতে যাচ্ছি ঢাকা টু কুষ্টিয়া জেলার বাসের সময়সূচী। অনেক ধরনের বাস ঢাকা জেলা থেকে কুষ্টিয়া জেলার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। আমরা সেখান থেকে ভালো কিছু বাস কোম্পানির ভালো সেবাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
হানিফ এন্টারপ্রাইজ ঢাকা টু কুষ্টিয়া এই রুটে তাদের একটি নন এসি বাস চালু রেখেছে। যেহেতু হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পরিবহন কম্পানি তাই তারা এ রুটে একটি বাস চালু রেখেছে। এই বাসটি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে সকাল 6:30 মিনিটে। এই বাসটি যাত্রা শেষ করে কুষ্টিয়াতে পৌছবে দুপুর 12:30 মিনিটে। এটি হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর একটি নন এসি বাস।
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস রয়েছে যে বাসটি ঢাকা টু কুষ্টিয়া এ রুটে চলাচল করে। এই বাসটি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সকাল 7:30 মিনিটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এই বাসটি কুষ্টিয়া জেলাতে এসে পৌছবে সকাল 11:30 মিনিটে। এটি একটি নন এসি বাস আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী আপনার এতে যাএা করতে পারেন।
জে আর পরিবহন লিঃ তাদের বাস সেবায় যোগ করেছে ঢাকা টু কুষ্টিয়া বাস সার্ভিস। তারা এই রুটে একটি নন এসি বাস চালু রেখেছে যে বাসটি সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। সকাল 6:30 মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জে আর পরিবহন এর এই বাসটি সকাল 11 টা 45 মিনিটে এসে কুষ্টিয়াতে যাত্রা শেষ করে।
এসপি সুপার ডিলাক্স ঢাকা টু কুষ্টিয়া এ রুটে একটি বাস চালু হয়ে গেছে। এই বাসটি যাত্রা শুরু করবে সকাল 8 টা 30 মিনিটে ঢাকা হতে। ঢাকা হতে যাত্রা শুরু করার পরে বাসটি কুষ্টিয়া জেলাতে এসে দুপুর 12:30 এ তার যাত্রা শেষ করবে। এটি একটি নন এসি বাস সার্ভিস।
কুষ্টিয়া টু ঢাকা এবং ঢাকা টু কুষ্টিয়া বাসের ভাড়া
আমরা কুষ্টিয়া টু ঢাকা এবং ঢাকা টু কুষ্টিয়া এ রুটে খুব স্বল্প পরিমাণ বাসের তথ্য পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি সে তথ্যের আলোকে আপনাদের সামনে অনেক কিছু বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার। আমরা এখন চেষ্টা করবো আপনাদের জানানো যে এ রুটে চলাচল কারি বাসের ভাড়া কত হতে পারে।
নন এসি বাসের ভাড়া
কুষ্টিয়া জেলা থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 175 কিলোমিটার। যদিও এই জেলা থেকে ঢাকা জেলাতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলযোগাযোগ তার পরেও অনেকেই বাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। আপনি যদি নন এসি বাসে কুষ্টিয়া টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু কুষ্টিয়া যাতায়াত করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাল বাস সার্ভিসে যাতায়াত করতে হবে। ভালো গুলোর মধ্যে হানিফ এন্টারপ্রাইজ শ্যামলী পরিবহন জে আর পরিবহন এসবি সুপার ডিলাক্স অন্যতম।
সব বাস গুলোতেই প্রতি টিকিটের মূল্য 600 টাকা ধার্য করা হয়েছে। আপনি যদি একাই ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে 600 টাকা বাস এর ভাড়া দিতে হবে।
এসি বাসের ভাড়া
নন এসি বাসের সম্পর্কে আমরা তো জানলাম কিন্তু এসি বাসের ভাড়া সম্পর্কে জানা একটু কষ্টের হবে। কারণ কুষ্টিয়া জেলা থেকে ঢাকা জেলা তে কোন এসি বাস সার্ভিস এর তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এটা জানতে পেরেছি যে ঢাকা টু কুষ্টিয়া এবং কুষ্টিয়া টু ঢাকা এসি বাসের ভাড়া মূল্য হবে 1000 থেকে 1400 টাকার মধ্যে। বাসের ধরন ভেদে এ ভাড়াটি নির্ধারণ করা হবে।
কুষ্টিয়া টু ঢাকা অনলাইন টিকেট 2023
আমরা সচরাচর বাসের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে এই সংগ্রহ করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সব কিছু পরিবর্তনের ফলে এখন বাসের টিকিট কাটাতে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। আপনাকে বাসের টিকিট কাটার জন্য সরাসরি বাস কাউন্টারে উপস্থিত হতে হবে না এবং আপনার মূল্যবান সময় খরচ করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। আপনি ইচ্ছে করলেই অনলাইনের মাধ্যমে আপনার বাসের টিকিট কেটে নিতে পারেন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকটি পোস্ট এর মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে shohoz.com এর মাধ্যমে আপনি বাসের টিকিট কাটতে পারেন তার একটি সহজ ধারণা দিয়েছি। আপনি অবশ্যই সেই পোস্টগুলা দেখে আসতে পারেন।