আপনাদের সকলকে কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা বাসের সময়সূচী এই পোষ্টে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করব এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সকল পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছেড়ে যেতে। যাতে করে এই তথ্যগুলো সকলেই ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে একজন পাঠক কি সম্পর্কে জানতে পারবেন? কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী বাস এর সকল সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বাসের ভাড়া সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
এছাড়াও এই বাসের অনলাইন টিকেট কিভাবে সংগ্রহ করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আমাদের এই অনুচ্ছেদের শেষ অংশটুকু পর্যন্ত পড়ুন। অনেকেই রয়েছেন যাদের কাছে এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বিশেষ করে এই রুটের নিয়মিত চলাচল কারী যাত্রীদের জন্য, কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা বাসের সময়সূচী, ভাড়া, অনলাইন টিকিট এই পোষ্ট অনেক উপকারী হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা বাস
অনেকেই জানেন না কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব কতটুকু। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 98 কিলোমিটার। যারা এই রুটে নিয়মিত চলাচল করে তারা বেশিরভাগই বাসে যাতায়াত করে। যেহেতু কিশোরগঞ্জ ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় অর্থাৎ ঢাকা বিভাগের একটি জেলা তাই প্রতিনিয়ত দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষের।
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে কিশোরগঞ্জ। এটি ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের এ শ্রেণীভূক্ত একটি জেলা। কিশোরগঞ্জকে হাওর অঞ্চল বলে পরিচয় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা কিশোরগঞ্জ জেলা।
এ জেলার উত্তরে রয়েছে নেত্রকোনা জেলা ও উত্তর–পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা। এছাড়াও দক্ষিনে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। পূর্বে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা হবিগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা। কিশোরগঞ্জে মোট 13 টি উপজেলা এবং 8 টি পৌরসভা এর সঙ্গে 108 টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অর্থনীতি পরিচালিত হয় হাওর ওপর নির্ভর করে। হাওর থেকে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য বহু মানুষ পাঠ, ধান এবং অন্যান্য অনেক ধরনের সবজির আবাদ করে। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মৎস্য চাষ এবং পোল্ট্রি খামার রয়েছে এই কিশোরগঞ্জে।
কিশোরগঞ্জে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় স্থান টির নাম হল মিঠামইন । এটি একটি হাওর অঞ্চল এবং এই হাওর অঞ্চলে বাংলাদেশ সরকার একটি সুন্দর সড়কপথ স্থাপন করে। যেটি দেখতে এত অসাধারণ যে, হাজার হাজার মানুষ অঞ্চলটিতে বেড়াতে যান। হাওরের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা এই রাস্তাটি তিনটি গ্রামকে এক জায়গাতে করেছে। এছাড়াও জঙ্গলবাড়ি দূর্গ, এগারসিন্ধুর দুর্গ, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এই জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থান।
কিশোরগঞ্জের রয়েছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। এমন বহু ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা এই জেলাতে জন্মগ্রহণ করে গোটা দেশের জন্য সুফল বয়ে এনেছেন।
কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা বাসের সময়সূচী
এখন আমরা আমাদের পাঠকদের উদ্দেশ্যে পোষ্টের মূল অংশে চলে এসেছি এবং এই অংশে চেষ্টা করব কিশোরগঞ্জ–ঢাকা এই রুটে যে কয়েকটি বাস চলাচল করে তাদের সময়সূচী সম্পর্কে আপনাদের জানানোর।
- একুশে সার্ভিস বাস কোম্পানি কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রুটে তাদের বেশ কয়েকটি গেটলক নন এসি বাস সার্ভিস চালু রেখেছে। এই বাসের মধ্যে একটি বাস রয়েছে যা সকাল 6:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ 32 বাস স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসে। এই বাসটি কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ঢাকা সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে সকাল 10 টা 10 মিনিটে তার যাত্রা শেষ করে।
- একুশে পরিবহনের আরো একটি নন এসি বাস 32 বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল 7:30 এ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এটিও একটি গেটলক বাস এবং একটি নন এসি বাস। এই বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসে সকাল 11 টা 10 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
- এনা সার্ভিস বাস কোম্পানির একটি নন এসি বাস কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। এ রুটে চলাচলকারী এনা সার্ভিস বাস কম্পানি এই বাসটি কিশোরগঞ্জ ইন্টার ডিসটিক বাসটার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসে ভোর 5:30 মিনিটে। ছেড়ে আসা এই বাসটি ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সকাল 10 টা তে। এই বাসটি ঢাকা মহাখালীতে এসে পৌঁছায়।
- সুপার বাস কম্পানি কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে চালু রেখেছে তাদের একটি নন এসি বাস। এই নন এসি বাস সকাল 5:30 এ ঢাকার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সকাল 10:30 মিনিটে।
- যাতায়াত বাস কোম্পানির একটি বাস কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে চলাচলকারী নন এসি বাস সকাল 5:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এই বাসটি সকাল 10:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তারা যাত্রা শেষ করে।
- বিআরটিসি বাস কম্পানি কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রুটে চালু রেখেছে এসি এবং ননএসি দুই ধরনের বাস। এই বাসগুলো কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ হয়ে কিশোরগঞ্জ ঢাকাতে এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে একটি বাস সকাল 9 টা 10 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং বিকেল 4:00 মিনিটে ঢাকাতে এসে পৌঁছায়।
- বিআরটিসি‘র নন–এসি বাসও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সকাল 8 টা 50 মিনিটে এবং বিকেল 4:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
- অতিথি বাস কোম্পানি তাদের দুটি বাস এই রুটে চালু রেখেছে। একটি নন এসি বাস সকাল 6 টা 45 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কিশোরগঞ্জ কাউন্টার থেকে। এবং ঢাকাতে এসে পৌঁছায় দুপুর 1 টা 45 মিনিটে। অতিথি বাস কোম্পানির অপর বাসটি সকাল 7 টা 20 মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে। এবং দুপুর 2:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে পৌঁছায়।
- ঈশা ইন্টারপ্রাইজ তাদের দুইটি বাস কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে চালু রেখেছে। এই বাস গুলোর একটি দুপুর 1 টা 20 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ইশা এন্টারপ্রাইজের আরো একটি বাস দুপুর 2 টা 20 মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এটি একটি নন এসি বাস।
কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা বাসের ভাড়া
কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রুটে এসি এবং ননএসি বাস চলাচল করে। এসি এবং ননএসি সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন আমরা এসি এবং ননএসি বাসের উভয়ের ভাড়ায় আপনাদের সামনে উল্লেখ করব।
নন এসি বাসের ভাড়া
- কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে যে কয়েকটি নন এসি বাস চলাচল করে তাদের প্রত্যেকটির নামে আমরা আমাদের পোস্ট এর উপরের অংশে উল্লেখ করে দিয়েছি। এই উল্লেখিত প্রত্যেকটি বাসেরি প্রতি সিট বাবদ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 200 টাকা।
এসি বাসের ভাড়া
- কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা এই রুটে শুধুমাত্র বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু রেখেছে। তারা এই এসি সার্ভিস এর জন্য টিকিট মূল্য নির্ধারণ করেছে 400 টাকা।
অনলাইনে বাসের টিকিট 2023
আপনি জেনে অবাক হবেন যে অনলাইনে যে কেউ ইচ্ছা করলে বাসের টিকিট কাটতে পারে। এতে করে আপনাকে বাস কাউন্টারে গিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না এবং আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয় না। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে এই টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে কাটতে পারবেন।
আপনি খুব সহজেই নিজে থেকে অনলাইনে আপনার বাসের টিকিট কাটতে পারবেন কিন্তু এটির জন্য আপনাকে প্রথমত তথ্য সংগ্রহের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভিজিট করতে হবে।আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক কয়টি পোস্ট এর মাধ্যমে আমাদের দর্শক–শ্রোতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে কিভাবে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটা যায়। আপনারা দয়া করে সেই পোস্ট গুলো ভালভাবে দেখে আসুন এবং নিজে থেকেই আপনার বাসের টিকিট কাটুন। এরপরেও কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।