চাঁদপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী ২০২৩ ভাড়া, অনলাইন টিকিট

এখন আমরা আপনাদের যে বিষয়টি নিয়ে জানাবো সেটি হল চাঁদপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী। মূলত এই রুটে যে কোম্পানির বাসগুলো চলাচল করে তাদের সকল তথ্য গুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এমন ভাবে লেখার কারণ হলো অনেকেই বাসে যাতায়াত এর ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হন, তার প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য তাদের কাছে না থাকা।

আপনারা যদি যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসের সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের কাছে আগে থেকেই পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই যাত্রাটা আপনারা সুন্দরভাবে সাজাতে পারবেন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা চাঁদপুর টু ঢাকা এইরূটে সবকয়টি বাস কোম্পানির সময়সূচী এবং ভাড়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরো জানতে পারবেন এই বাসগুলোর অনলাইন টিকেট কিভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে

চাঁদপুর জেলা

চাঁদপুর বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের একটি জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে চাঁদপুর। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে চাঁদপুর বাংলাদেশের একটি এ শ্রেণীভূক্ত জেলা। যারা ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করেন, আমার জানা মতে তারা এই চাঁদপুরের নাম খুব ভালোভাবে জানেন। কারণ বাংলাদেশের এই জেলা ইলিশের জন্য ব্যাপকভাবে বিখ্যাত।

চাঁদপুর জেলা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় দুইশ আট কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এ জেলার দক্ষিনে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা রয়েছে।পূর্বে রয়েছে কুমিল্লা জেলা এবং উত্তর রয়েছে কুমিল্লা জেলা। বেশ কয়েকটি নদীর মধ্যে মেঘনা নদী অন্যতম। পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সীগঞ্জ জেলা ও শরীয়তপুর জেলা এবং বরিশাল জেলা অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী এই চাঁদপুরে এসে মিলিত হয়েছে।

চাঁদপুরে রয়েছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাঁদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। চাঁদপুরের 9 টি সরকারি কলেজ এবং বেসরকারি কলেজ রয়েছে 34 টি। এ ছাড়াও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যার দ্বারা এই অত্র এলাকার ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হয়। চাঁদপুরে বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। জীবিকা নির্বাহের জন্য অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজ করে, এর পাশাপাশি অনেক মানুষ মৎস্য চাষের বা মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত। চাঁদপুরে রয়েছে একটি বিসিক শিল্পনগরী যেখানে বহু বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এর পাশাপাশি চাঁদপুরে বহু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে থাকে।

চাঁদপুরের রয়েছে একটি নদী বন্দর। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই নদী বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাঁদপুর জেলা নদী জেলা হিসেবে সারা দেশব্যাপী পরিচিত রয়েছে। এ জেলার প্রধান চারটি নদীর নাম হলো মেঘনা নদী, পদ্মা নদী, ডাকাতিয়া নদী ও ধনাগোদা নদী। চাঁদপুরে 250 শয্যা বিশিষ্ট একটি জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে এবং 8 টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।

চাঁদপুর টু ঢাকা বাসের সময়সূচী

চাঁদপুর টু ঢাকা এ রোডে বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানি তাদের সার্ভিস চালু রেখেছে। এখন আমরা এই বাস কোম্পানিগুলো হতে বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানির নাম উল্লেখ করে তাদের সময়সূচী সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

  • তিশা সার্ভিস বাস কোম্পানি তাদের একটি নন এসি বাস চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যেহেতু চাঁদপুর থেকে ঢাকা তে যেতে প্রায় চার ঘন্টার মতন সময় লাগে। এই বাস কম্পানি ভোর 5:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করলে সকাল 9:30 মিনিটে ঢাকাতে গিয়ে পৌঁছায়।
  • চাঁদপুর থেকে আরও একটি নন এসি বাস সার্ভিস রয়েছে যে বাস কম্পানি টির নাম হল আল আরাফাহ বাস কোম্পানি। এই কোম্পানির একটি নন এসি বাস সকাল 6 টা 10 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর থেকে তার যাত্রা শুরু করে এবং সকাল 10:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
  • চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে চালু রয়েছে পদ্মা বাস কোম্পানির একটি স্পেশাল বাস সার্ভিস। এই বাস কোম্পানির বাসটি যদিও নন এসি বাস তারপরও এই বাস কোম্পানির বাস সার্ভিস খুবই ভালো। বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সকাল 6 টা 55 মিনিটে চাঁদপুর থেকে এবং বাসটি ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সকাল 10:50 মিনিটে।
  • সাউদিয়া পরিবহন তাদের চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে এসি এবং ননএসি দুটি বাসে চালু রেখেছে। তাদের একটি এসি বাস চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে সকাল 7:30 মিনিটে। এই বাসটি ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সকাল 11:30 মিনিটে।
  • সাউদিয়া পরিবহন তাদের নন এসি বাস চালু রেখেছে সকাল 8:10 মিনিট চাঁদপুর কাউন্টার থেকে। বাসটি তে যারা যাতায়াত করেছেন তারা খুবই আরামদায়ক বলে এই বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এই বাসে যাতায়াত করলে আপনি সকাল 12:30 এর সময় ঢাকাতে এসে পৌঁছাবেন।
  • পদ্মা বাস কোম্পানির একটি নন এসি বাস সকাল 9:30 এ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এই বাস কোম্পানির এই বাসটি দুপুর 1:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।
  • চাঁদপুর থেকে ঢাকা তে যারা দুপুরে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য পদ্মা বাস কোম্পানি চালু রেখেছে দুপুর 2:30 থেকে চাঁদপুর টু ঢাকা একটি নন এসি বাস। এই বাসটি দুপুর 2:30 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সন্ধ্যা 6 টা 30 মিনিটে।
  • দুপুর 3:30 মিনিটে সৌদিয়া বাস কোম্পানির একটি নন এসি বাস চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এই বাসটি ঢাকাতে এসে পৌঁছায় সন্ধ্যা 7 টা 30 মিনিটে।
  • যারা রাতে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সৌদিয়া বাস কম্পানি রেখেছে এসি বাস সার্ভিস। এই বাসটিতে আপনি যাতায়াত করলে, আপনার যাত্রা শুরু হবে সন্ধ্যা 7 টা 30 মিনিটে এবং যাত্রা শেষ হবে রাত 11:30 মিনিটে। এটি সৌদিয়া বাস কোম্পানির একটি এসি বাস।
  • দিনের শেষে যে বাসটি চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সেটি হল পদ্মা বাস কোম্পানির একটি বাস। এই বাসটি রাত 8:30 মিনিটে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসে এবং রাত 12:30 মিনিটে ঢাকাতে এসে তার যাত্রা শেষ করে।

চাঁদপুর টু ঢাকা বাসের ভাড়া

চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে এসি এবং ননএসি দুটি বাস রয়েছে। যেহেতু বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রায় 4 ঘন্টা সময় লাগে এবং খুব বেশি রাস্তা নাই তাই বাস কোম্পানিগুলো তাদের নির্দিষ্ট হারে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

নন এসি বাসের ভাড়া

  • চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে যে কয়টি নন এসি বাস সার্ভিস রয়েছে সবকয়টি বাসের ভাড়া একই নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে নন এসি বাসের টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 250 টাকা।

এসি বাসের ভাড়া

  • চাঁদপুর টু ঢাকা এই রুটে শুধুমাত্র একটি বাস কোম্পানি তাদের এসি সার্ভিস চালু রেখেছে। সৌদিয়া বাস কোম্পানি তাদের এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করেছেন 400 টাকা।

অনলাইনে চাঁদপুর টু ঢাকা বাসের টিকিট সংগ্রহ

আপনি কিভাবে অনলাইনে চাঁদপুর থেকে ঢাকা বাসের টিকিট সংগ্রহ করবেন তার একটি ধারণা পেতে নিচের অংশটুকু লক্ষ্য করুন।

  • সর্বপ্রথম আপনি আপনার মোবাইল থেকে shohoz.com এ প্রবেশ করুন এবং সেখান থেকে আপনার যাত্রা শুরুর সময় এবং শেষের সময় উল্লেখ করে বাস সার্চ দিন।
  • বাস সার্চ দেয়ার পরে আপনাকে তারিখ নির্ধারণ করে দিতে বলবে। আপনি তারিখ নির্ধারণ করে দিলেই বাসের লিস্ট আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে। যেকোনো একটি বাস সিলেক্ট করুন এবং বাসের সিট সিলেক্ট করুন।
  • এই পর্যায়ে আপনাকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। আপনি বিকাশ ও রকেট ছাড়াও বহু মাধ্যমে আপনার টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। এভাবে আপনার টিকিট কাটার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভালোভাবে ভিজিট করুন এবং অনলাইনে কিভাবে বাসের টিকিট কাটা যায় সে সম্পর্কিত পোস্ট পড়ে আসুন।