চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর এই রুটে যারা চলাচল করেন বা এ রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বিশেষভাবে আজকের অনুচ্ছেদ তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোর প্রয়োজন পড়ে এবং যাত্রীরা সেই তথ্যগুলো জানার জন্য এখানে ওখানে খোঁজাখুঁজি করে।
আপনাদের আর এখানে-ওখানে খোঁজাখুঁজি করতে হবে না আপনারা যদি চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর ট্রেনের সিডিউল এবং টিকিটের মূল্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণরূপে পড়ে শেষ করুন। আপনারা যখন আমাদের এই অনুচ্ছেদ পড়ে শেষ করবেন তখন চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর এ রুটে চলাচলকারী ট্রেন এর প্রত্যেকটি তথ্য খুব সহজেই আপনি আপনার কাছে পেয়ে যাবেন।
চুয়াডাঙ্গা টু বিমানবন্দর ট্রেন আন্তঃনগর
চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত আপনি ট্রেনে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনে যাতায়াত এর জন্য আপনার কাছে দুইটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের অপশন থাকবে । এই রুটে যে ট্রেন দুইটি চলাচল করে তার নাম হলো সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং চিত্রা এক্সপ্রেস। আপনারা আপনাদের সময় এবং সুযোগ অনুযায়ী এই দুইটি ট্রেনে যেকোন একটিতে যাতায়াত করতে পারেন। আজকে আমরা এই দুইটি ট্রেনের বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
প্রথমত যারা নিয়মিত এসকল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন তারা আমার সাথে একমত হবেন যে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমানে ট্রেনে যাতায়াত অনেকটাই পরিবর্তনশীল এবং অনেকটা আরামদায়ক। এসকল ট্রেনে রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা যে সুযোগ সুবিধাগুলো একজন যাত্রী খুব সহজেই উপভোগ করতে পারে। এই ট্রেনে রয়েছে নামাজের জন্য আলাদা নামাজ কক্ষ এবং খাবারের জন্য রয়েছে একটি খাবার ক্যান্টিনের ব্যবস্থা। তাছাড়াও ট্রেনগুলোর আভ্যন্তরীণ পরিবেশ অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করে এসকল ট্রেনে যাতায়াত করতে।
চুয়াডাঙ্গা টু বিমানবন্দর আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী
চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর রুটে মোট দুইটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। আমরা আপনাদের আজকে জানাবো এই দুইটি ট্রেনের আলাদা আলাদা সময়সূচী সম্পর্কে। এর পাশাপাশি আপনারা এটাও জানতে পারবে এই দুটি ট্রেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে কোন দিন বন্ধ থাকে। তাই যারা এসকল বিষয় জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের অনুচ্ছেদের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস নিয়মিত চলাচল করে চুয়াডাঙ্গা টু বিমানবন্দর এ রুটে। আপনারা যারা এই রুটে নিয়মিত যাত্রী আছেন তারা অবশ্যই এই ট্রেন সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন। এই ট্রেন সপ্তাহে একদিন বুধবার বন্ধ থাকে অর্থাৎ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছুটিতে থাকে। এই ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা 12:53 এবং ট্রেনটি তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় 6 টা 25 মিনিটে।
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়মিত চুয়াডাঙ্গা দুই বিমানবন্দরে রুটে চলাচল করে। অনেক অল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে এই ট্রেনে নিয়মিত যাত্রীরা চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর যাতায়াত করে। আপনি যদি চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর যাতায়াত করতে চান তাহলে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই ট্রেনটি প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে 11:46 এবং এই ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এসে পৌঁছায় 5 টা 22 মিনিটে ।
চুয়াডাঙ্গা টু বিমানবন্দর ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আপনারা যারা চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর এ রুটে নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা আগে থেকেই জানেন এ রুটের ভাড়ার সম্পর্কে। টিকিটের দাম নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই ট্রেনের টিকিটের মূল্য অন্য যানবাহনের চেয়ে অনেক কম হয়। ট্রেনে আপনি স্বল্পব্যয়ে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। এখন আমরা জানাবো চুয়াডাঙ্গা থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য যেসকল টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো।
শোভন এর টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 325 টাকা। শোভন চেয়ারের টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 390 টাকা। প্রথম সিট এর টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 520 টাকা। প্রথমবার্তা টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 775 টাকা। স্নিগ্ধা এর টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 650 টাকা। এসি সিট এর টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 775 টাকা। এসি বাসের টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 1165 টাকা।