আপনারা যারা ভোলা টু ঢাকা এই রুটে চলাচল কারী বাসের সময়সূচী জানতে আগ্রহী হয়েছেন তাদের জন্য আজকে নিয়ে এলাম ভোলা টু ঢাকা এ রুটে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের সময়সূচী সম্পর্কে এই পোষ্ট। অনেকে হয়তো জানেন ভোলা টু ঢাকা দূরত্ব প্রায় 150 কিলোমিটার। কিন্তু ভোলা থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থা হল ওয়াটার বাস সিস্টেম।
সবথেকে বেশি মানুষ ওয়াটার বাস এর মাধ্যমেই ভোলা থেকে ঢাকাতে যোগাযোগ করে। তারপরও আমি চেষ্টা করব প্রত্যেকটি জিনিসে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা। আপনারা যারা এই বিষয়ে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট বিস্তারিতভাবে এবং ভালভাবে পড়ুন। আমরা আপনাদের জন্য যথোপযুক্ত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
ভোলা টু ঢাকা বাস
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে ভোলা জেলা। ভোলা জেলার পূর্বের নাম হল দক্ষিণ শাহবাজপুর। ভোলা জেলার নামকরণের পিছনে খুব ভালোভাবে এবং খুব প্রতিষ্ঠিত একটি ইতিহাস বা কাহিনী রয়েছে। ভোলা শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মতো অপ্রশস্ত ছিল না। একসময় এই খালটি পরিচিত ছিল বেতোয়া নদি নামেও। তবে খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পাড়াপার করত থুরথুরে বুড়ো এক মাঝি। লোকজনের পারাপারের কাজ করত তার নাম ছিল ভোলা গাজী । ধারণা করা হয় সেই মাঝির নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় ভোলা।
ভোলা জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা এবং মেঘনা নদী রয়েছে। দক্ষিণের রয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে নোয়াখালী লক্ষীপুর জেলা। পূর্বে আরো রয়েছে মেঘনা নদী। ভোলার পশ্চিমে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা ও তেতুলিয়া নদী। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের জন্য এই জেলার বিশেষভাবে পরিচিতি রয়েছে তাই প্রত্যেকটি জেলার মানুষই এই জেলাকে খুব ভালো ভাবেই চেনেন।
ভোলাতে মোট সাতটি উপজেলা রয়েছে এবং দশটি থানা রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে আরও পাঁচটি পৌরসভা, 70 টি ইউনিয়ন পরিষদ ও চারটি সংসদীয় আসন। ভোলা জেলা তে রয়েছে বহু চিত্তাকর্ষক স্থান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল মনপুরা দ্বীপ, শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র, শাহবাজপুর মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, তুলাতলী পর্যটনকেন্দ্র, ফাতেমা খান মসজিদ, চর কুকরি–মুকরি ইত্যাদি। এই ভোলাতে বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব জন্মগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন নজিবুর রহমান, মঞ্জুর আলম, মোতাহারের মাস্টার, তোফায়েল আহমেদ, মোশারেফ হোসেন শাহজাহান, আন্দালিব রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, নিজামউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ ইব্রাহিম, আলী আজম, জসিম উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।
ভোলা জেলা থেকে নদীপথে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 195 কিলোমিটার। সড়কপথে যোগাযোগের জন্য বরিশাল হয়ে ঢাকার দূরত্ব ভোলা থেকে প্রায় 287 কিমি। এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন নদী পথ পরিবর্তন করে লক্ষীপুর থেকে ঢাকাতে আসবেন তাহলে আপনার দ্রুত হবে 240 কিলোমিটার। এ জেলা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বঙ্গোপসাগর এবং মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। তবে এই জেলার সাথে অন্য জেলার খুব একটা সড়ক যোগাযোগ দেখতে পাওয়া যায় না
ভোলা টু ঢাকা বাসের সময়সূচী
এখন আমরা ভোলা টু ঢাকা এ রুটে চলাচলকারী বাসের সময়সূচী সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। আপনারা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে ভোলা এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে ভোলার চার পাশ দিয়েই প্রায় নদী এবং সমুদ্র রয়েছে। ভাই অন্য জেলার সাথে ভোলা জেলার খুব একটা স্থলপথ এর যোগাযোগ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভোলা জেলার মানুষ জলপথে বা, নদী পথে যাতায়াত করে অন্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ঢাকা থেকে ভোলা জেলা তে যদি আপনি সরাসরি যোগাযোগ করতে চান তাহলে আপনি ওয়াটার বাস পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়াটার বাস পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকাতে চলে আসতে পারেন। বেশ কয়েকটি ওয়াটার বাস ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস তাদের বেশ কয়েকটি ওয়াটার বাস ঢাকা টু ভোলা এই রুটে যাত্রী পারাপার করায়। তারা দিনের বিভিন্ন সময়ে ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নদী পথে যাত্রা শুরু করে এবং প্রায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই তারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করে।আপনার কাছে বেশ কয়েকটি ওয়াটার বাস থাকবে। এমবি গ্রীন লাইন 1, এমবি গ্রীন লাইন 2, এমবি গ্রীন লাইন 3 ইত্যাদির মাধ্যমে তারা তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে।
আপনি যদি গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস এর মাধ্যমে ভোলা টু ঢাকা এই রুটে চলাচল করতে চান তাহলে আপনার জন্য নরমাল একটি সময় উল্লেখ করা যেতে পারে। ভোলা থেকে সকাল 8 টা 30 মিনিটে প্রথম ওয়াটার বাস গ্রীনলাইন ছাড়া হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এরপরে সকাল 10:30 আরো একটি ওয়াটার বাস ছাড়া হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। সকাল 11:30 মিনিটে আরো একটি ওয়াটার বাস ভোলা থেকে ছাড়া হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। আপনারা যদি ওয়াটার বাস এর মাধ্যমে ভোলা থেকে ঢাকাতে যাতায়াত করতে চান তাহলে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে শুধু মাত্র 140 কিলোমিটার পাড়ি দিলেই ঢাকাতে এসে পৌঁছাবেন।
অনেকেই আবার ভোলা থেকে সরাসরি বরিশালে এসে সেখান থেকে বাস ধরে ঢাকাতে আসতে চাই। যারা ওয়াটার বাস সিস্টেমে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন না বা উপভোগ করতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। তাদেরকে প্রথমত ভোলা থেকে বরিশালে আসতে হবে। এবং সেখান থেকে যেকোন ঢাকার বাস ধরে ঢাকাতে আসতে পারবে। বরিশাল হয়ে ঢাকাতে আসতে হলে আপনাকে প্রায় 287 কিলোমিটার পথ চলাচল করতে হবে। এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে ভোলা থেকে বরিশাল আসার পরে কোন বাসে আপনারা উঠবেন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি জেলা থেকে ঢাকা জেলায় প্রবেশের জন্য বাসের যাবতীয় তথ্য আলাদা আলাদা ভাবে আপলোড করেছি। ভাই আমরা আবার চাচ্ছি না আমাদের এই পোস্টে বরিশাল থেকে ঢাকার বাস এর তথ্য গুলো তুলে ধরতে। আপনারা যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বরিশাল–ঢাকা রুটে চলাচল প্রায় প্রত্যেকটি বাসের সকল খবর সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
ভোলা টু ঢাকা বাসের ভাড়া
এতক্ষণ আপনারা ভোলা টু ঢাকা এই রুটে চলাচলকারী বাস এর সম্পর্কে ধারণা পেলেন। এখন আমরা এই রুটে চলাচলকারী বাসের ভাড়া সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। কোন বাসে কত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
আমরা আমাদের এই পোষ্টের ওপরের অংশে আপনাদের খুব ভালো ভাবে বুঝিয়েছি যে আপনারা যদি ভোলা থেকে ঢাকাতে বাসে করে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম বরিশালে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। যেহেতু ভোলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি বাসে কোনো যোগাযোগ নেই তো তাই আপনাকে সর্বপ্রথম বরিশালে গিয়ে সেখান থেকে যে কোন একটি ঢাকার বাস ধরে ঢাকাতে আসতে হবে।
এক্ষেত্রে আমরা আমাদের উল্লেখ্য বরিশাল টু ঢাকা এই পোস্টে হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বেশ কয়েকটি বাস এর কথা উল্লেখ করেছিলাম এবং সেখানে এটা উল্লেখ করেছিলাম এই বাসগুলোর ভাড়া 500 টাকা।
বাসের অনলাইন টিকিট 2023
আপনারা যারা ভোলা থেকে ঢাকা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যেই অংশ। আপনারা কিভাবে ভোলা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট অনলাইন সংগ্রহ করতে পারেন তা নিয়ে এখন আমরা একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রথমত আপনি যদি ওয়াটার বাস সিস্টেমের মাধ্যমে ভোলা থেকে ঢাকা তে আসতে চান তাহলে ভাল বাস সার্ভিস বলতে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস সিস্টেম গুলো রয়েছে। আপনি গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস লিখে আপনার মোবাইল থেকে সার্চ দিলে আপনি এদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে বেশ কয়েকটি ধাপ মেনে অনলাইনে ওয়াটার বাসের টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন।
আপনি যদি বাইরে আসতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বরিশাল হয়ে আসতে হবে। আপনি shohoz.com এর প্রবেশ করতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার কাংখিত বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। কি পদ্ধতিতে টিকেট সংগ্রহের সম্পূর্ণ তথ্য আমরা বেশ কয়েকটি পোস্ট এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। তাই আমরা আশা করব আপনারা সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।