বরগুনা টু ঢাকা বাসের সময়সূচী ২০২৩ ভাড়া, অনলাইন টিকিট

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের আমাদের এই পোস্টে। আমাদের এই পোষ্টটি খুব তথ্যবহুল একটি পোস্ট হতে যাচ্ছে। আপনারা যারা বাসে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বিশেষ করে এই পোস্ট কাজে লাগতে পারে। মনে করেন  আপনি বরগুনা জেলা তে বসবাস করেন অথবা বরগুনা জেলার কোন এক পর্যটন কেন্দ্র বেড়াতে আপনি সেখানে গিয়েছেন। আপনাকে হঠাৎ করেই সেখান থেকে আসার সময় ঢাকা হয়ে আসতে হবে। আপনি বাসে আসতে চাচ্ছেন এবং সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

আপনি এখন কিভাবে বরগুনা থেকে ঢাকাতে আসবেন? আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা রয়েছি। আমরা আজকে দেখাবো বরগুনা টু ঢাকা বাস এর সকল তথ্য। আমরা আশা করছি আমাদের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সকল প্রশ্নের সমাধান করতে।

বরগুনা টু ঢাকা কিছু তথ্য

আমাদের পোস্ট এর হেডিং অনুযায়ী আজকে আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি বরগুনা টু ঢাকা বাস যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে। কিন্তু এর পূর্বে আমাদের বরগুনা জেলা সম্পর্কে একটু ধারনা নিয়ে রাখা উচিত। কারণ আপনি যে জেলাতে যাবেন বা অবস্থান করবেন সে জেলা সম্পর্কে আপনার অবশ্যই ধারনা থাকা উচিত এতে করে অনেক সময় আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ঢাকা জেলা থেকে বরগুনা জেলার দূরত্ব অনেক বেশি। গুগল ম্যাপ অনুযায়ী বরগুনা জেলা থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 317 কিলোমিটার। আপনি কি ভাবতে পারছেন এটা কত বড় একটি রাস্তা। তাই অবশ্যই আপনাকে এই রাস্তাতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বরগুনা জেলা সম্পর্কে একটি ধারণা রাখতে হবে এবং বাসগুলো সম্পর্কে একটি ধারণা রাখতে হবে। চলুন নিচের অংশে কিছু ধারনা নিয়ে নি।

বরগুনা জেলা

আপনারা সকলেই জানেন বরগুনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। এটি বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। অনেকের হয়তো মনে আছে 2007 সালে একটি বড় ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল যার নাম সিডর এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উপকূলবর্তী এই অঞ্চল বরগুনা। বরগুনা জেলা দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলা। এর দক্ষিণের পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর রয়েছে। উত্তরে রয়েছে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীর কিছু অংশ। পূর্বে পটুয়াখালীর কিছু অংশ এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, বাগেরহাট।

এই জেলাতে রয়েছে মুঘল আমলে স্থাপিত বিবিচিনি মসজিদ। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক একটি নিদর্শন। এছাড়াও এই জেলাতে রয়েছে পাথরঘাটার হরিণঘাটার লালদিয়া সমুদ্র সৈকত। সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত ও সোনাকাটা ইকোপার্ক। এই জেলাতে অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন বারা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় বড় অবদান রেখে গেছেন।

বরগুনা জেলা মূলত নারকেল এবং সুপারি জন্য গোটা দেশে বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনা জেলার বিখ্যাত সব খাবারের মধ্যে হচ্ছে চুইয়া পিঠা, চ্যাপা পিঠা ইত্যাদি। তবে এই জেলাতে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ঢাকাতে এসে পড়াশোনার জন্য থাকে। আরো সব আনুষাঙ্গিক কাজ যেমন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অনেক মানুষ এই জেলা থেকে ঢাকাতে যাতায়াত করে। অনেক মানুষ জীবিকার তাগিদে ঢাকাতে এসে বসবাস করে।

এ সকল মানুষকে বছরে একবার হলেও বরগুনা টু ঢাকা এই রুটে বাসে যাতায়াত করতে হয়। তারা এই দীর্ঘ পথ কিভাবে আরামে যাতায়াত করা যায় সেই জন্য ভালো বাস খোঁজে। অবশ্য একটি ভালো বাস ভিসার প্রয়োজন রয়েছে এবং তার পাশাপাশি প্রয়োজন রয়েছে সঠিক তথ্য হাতে পাওয়ার। আমরা নিচে আমাদের অনুচ্ছেদের মূল অংশে এই সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।

বরগুনা টু ঢাকা বাসের সময়সূচী

বরগুনা টু ঢাকা বাসের সময়সূচী বলতে বাসগুলো বরগুনা জেলা থেকে কোন সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে এবং কোন সময় ঢাকাতে এসে পৌঁছবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।

  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ চালু রেখেছে বরগুনা টু ঢাকা এই রুটে তাদের নন এসি বাস সার্ভিস। খুব  ভালো কোম্পানিগুলোই এই রুটে বাস সার্ভিস চালু রেখেছে। যেহেতু হানিফ এন্টারপ্রাইজ দেশের সর্ববৃহৎ বাস কম্পানি তাই তারা এই রুটে ও তাদের বাসগুলো রেখেছে। এই বাসটি সকাল 7:30 মিনিটে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বাসটি যাত্রা শেষ করে ঢাকাতে এসে বিকেল 3:30 মিনিটে।
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ আরো একটি বাস চালু রেখেছে বরগুনা টু ঢাকা এই রুটে। অনেকেই আরামদায়ক যাতায়াতের জন্য হানিফ এন্টারপ্রাইজ কে সর্বপ্রথম চয়েজ বলে গ্রহণ করেন। হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর এই বাসটি বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে সন্ধ্যা 7 টা 30 মিনিটে। বাচটি সারারাত এই দীর্ঘ পথযাত্রা করে এসে ঢাকাতে পৌঁছাবে ভোর 3 টা 30 মিনিটে।

ঢাকা টু বরগুনা বাসের সময়সূচী

এখন আমরা আপনাদের জানাব ঢাকা টু বরগুনা বাসের সময়সূচী। হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর কয়েকটি বাস রয়েছে যেগুলো ঢাকা টু বরগুনা এ রুটে চলাচল করে। চলুন তথ্যগুলো এক নজর দেখে নেওয়া যাক।

  • হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি নন এসি বাস যেটা খুব সকালে ঢাকা থেকে বরগুনা জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বাসটি বরগুনা জেলা তে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করে সকাল 8:00 টা তে ঢাকা থেকে। বাসটি তার যাত্রা শেষ করে বিকেল 4:30 মিনিটে বরগুনাতে এসে। আপনারা সকাল সকাল আরামদায়ক যাত্রার জন্য হানিফ পরিবহনের এই বাসটি বেছে নিতে পারেন।
  • আপনারা যারা ঢাকা থেকে বরগুনাতে বাসে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আরামদায়ক হবে হানিফ এন্টারপ্রাইজের এই বাসটিতে যাতায়াত করা। আরামদায়ক হওয়ার প্রধান কারণ হলো এই বাসটি রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা জেলার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। আর এটি হচ্ছে হানিফ এন্টারপ্রাইজ আরেকটি নন এসি বাস তাই অবশ্যই আপনার যাতায়াত অনেক আরামে হবে। বাসটি বরগুনার উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত 8:00 টা তে এবং বরগুনাতে এসে পৌঁছবে  ভোর 5 টা 10 মিনিটে।

বরগুনা টু ঢাকা বাসের ভাড়া

আমরা যেহেতু চেষ্টা করছি আপনাদের যাত্রা গুলোকে আরো সহজ এবং আরামদায়ক কিভাবে করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে তার ধারাবাহিকতায় এখন আমরা আপনাদের বরগুনা থেকে ঢাকা যাওয়ার বাসের ভাড়া গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

  • আমরা আমাদের এই পোষ্টের ওপরের অংশে বরগুনা টু ঢাকা বাসের সময়সূচী তে শুধুমাত্র হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসের কথা উল্লেখ করেছি। এই বাসগুলো নন এসি বাস যাতে যাতায়াত করলে অনেক আরামদায়ক হয়। যেহেতু বরগুনা জেলা থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় 317 কিলোমিটার সেই দিক বিবেচনা করে হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস কোম্পানি তাদের টিকিট মূল্য নির্ধারণ করেছে 650 টাকা।

ঢাকা টু বরগুনা বাসের ভাড়া

  • ঢাকা টু বরগুনা বাসের ভাড়া ও একই ধার্য করা হয়েছে। বলতো যে বাসগুলো বরগুনা থেকে ছেড়ে আসে সেই বাস গুলো পুনরায় আবার ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাই হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস কম্পানি একটি টিকিটের মূল্য ধার্য করেছে 650 টাকা।

অনলাইনে বাসের টিকিট বরগুনা টু ঢাকা

আমরা আশা করছি আমাদের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সকল প্রশ্নের সমাধান করতে। এই পর্যায়ে আমরা আপনাদের একটু ধারনা দিব কিভাবে আপনারা বাসের টিকিট অনলাইনে কাটতে পারেন।

যারা সত্যিই অনলাইনে বাসের টিকিট কাটতে পারেন না বা এখনো কাটেননি তাদের জন্য আমাদের উপদেশ হচ্ছে যে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আমি এই কথাটি বললাম তার কারণ হলো, আমাদের ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর ভাবে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার যে কয়টি পদ্ধতি রয়েছে সব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।

আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার সেট থেকে সরাসরি shohoz.com এ প্রবেশ করুন এবং সেই ওয়েবসাইটে দেখানো তিনটি ধাপ অনুসরন করে খুব সহজেই আপনার বাসের অনলাইন টিকেট সংগ্রহ করুন। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। আপনার শুধু প্রয়োজন হবে আমাদের ওয়েবসাইটের কিছু তথ্য এবং আপনার মনবল তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন।